Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Image
Title
he charming Shapala flower combination of Marjat Baor
Details

দিগন্ত টিগন্ত পেরিয়ে আসে কবি।মাথার ওপর আকাশের মেঘলা আলো।জীবন ও মরণের এই পৃথিবী আর তার বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা জীবনযাপন,দৈনন্দিন মাসুদারকে অন্যমনস্ক করে দেয়।চিরকালীন সব জিজ্ঞাসারা ঘিরে ধরলে সে ঘোরের  ভিতর ডুবে যেতে থাকে।উচারণের মৃদুমন্দের ফাঁকে ফাঁকে বুনে দিতে থাকে কবিতার পর কবিতা-

‘আকাশ স্বচ্ছ হলে পড়া যাবে ঈশ্বরের সমাধি-ফলক

দাঁড়াও বাংলাদেশ,ওপারে অন্য গ্রহলোক’।

দৃশ্যের পর দৃশ্যের জন্ম দেখে কবি। ধানবাংলার পাখি,পাখিদের জন্যই মনোরম হয়ে ওঠা ভোরবেলাগুলি;তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ডিলিরিয়ামের দিকে।ওপার থেকে আসা ‘কবিতা ক্যাম্পাস’ পত্রিকার পাতায় সে আকূল হয়ে খুঁজতে থাকে অপর কবিতার ভুবনমায়া।দীর্ঘ অসুখের দিকে কখন কিভাবে যেন চলে যাওয়া!আর অসুখ থেকে ফিরে আসলেই বারীন ঘোষালের চিঠিগুলি তাকে আশ্রয় দেয়।ঘুমোতে যাবার আগে তার কন্ঠে ঝরে পড়েন আল মাহমুদ-   

‘তাড়িত দুঃখের মতো চারপাশে

অস্পষ্ট স্মৃতির মিছিল’।

নিত্যানন্দী,নলভাঙ্গা, ছোট ধোপাদী, হাজিপুর, ওপারে মির্জাপুর, জগদীশপুরের পথে পথে ক্ষেতে ক্ষেতে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে উত্তরের আকাশের বিস্তৃতির দিকে সঙ্গ নিঃসঙ্গতা নিয়ে তাকিয়ে থাকা ।দিনের পিঠে দিন চলে যায়।উঠোনের হাঁসগুলি মোরগগুলি বেড়ালগুলি গরুগুলি মোষগুলি হালের বলদগুলি সবই থাকে চিরন্তনতা নিয়ে।কবি তার ব্যর্থতাগুলি নিয়ে ভাবে।সফলতাগুলিকে উপেক্ষা করে।আজ বিকেলে কি তবে সে বাওড়ে দিকে চলে যাবে ! ওপাড়ের বই পত্রপত্রিকারা অপেক্ষা করে আছে তার জন্য। খুব মনে পড়ে বউদির কথা।দেখা হওয়ার কথা হওয়ার আন্তরিক মূহুর্তগুলি নাড়া দিয়ে যায়।